২০১৭ সালের বিশ্ব সুন্দরীর আসরে মুকুট নিয়ে নিলো ভারতের মানুষী ছিল্লার। ভারতীয় সুন্দরীদের খ্যাতি বিশ্ব ব্যাপী।
সারা বিশ্ব থেকে অংশ নেয়া ১০৮ জন সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছিলেন এই প্রতিযোগিতায়। যেখানে মানুষী ছিল্লার সবাইকে পেছনে ফেলে বাজিমাত করেছেন।
আজ তাই মানুষীর জানা অজানা তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
পরিবার

বাবা মা ডাক্তার হওয়ার সুবাদে মেয়েও সেই পথ অনুসরণ করেছে।
মানুষী সোনেপতের ভগত ফুল সিং গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ফর ওমেনে এমবিবিএস দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
আর্ত মানবতার সেবায় নিজেকে নিয়জিত করাই তার একমাত্র লক্ষ্য থাকলেও, মনে মনে বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার আশা ছিল ছোট বেলা থেকেই।
তার পিতা ডা. মিত্র বসু ছিল্লার, প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংগঠন এর একজন বিজ্ঞানী। তার মা ডা. নিলাম ছিল্লার, ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান ব্রিবেইহিয়ার অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেস এর স্নায়ুরসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান।
ব্যক্তি জীবন

ব্যক্তিগত জীবনে মানুষী একজন সেবিকা হতে চেয়েছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করছেন মেয়েদের স্বাস্থ্যসচেতনতা বিষয় নিয়ে।
বিনোদন নয় সেবার ব্রতে বিশ্ব সুন্দরী হতে চেয়েছেন তিনি।
মানুষী একজন প্রশিক্ষিত কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী এবং তিনি প্রশিক্ষিত হয়েছেন বিখ্যাত নৃত্যশিল্পী দম্পতি রাজা এবং রাধা রেড্ডি এবং কৌশল্যা রেড্ডির নিকট।
ছিল্লার ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামাতেও যোগদান করেছেন।
মানুষীর বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার পেছনে যে বক্তব্যটি সাহায্য করেছে

প্রতিযোগিতায় মঞ্চে তার কাছে কোন পেশার মানুষকে সবচেয়ে বেশি টাকা দেওয়া উচিত বলে মনে হয় জানতে চাওয়া হলে, বেশ আবেগ জড়ানো কণ্ঠে মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৭ এর মানুষী বলেন
‘আমার জীবনের সাফলতার পেছনে যার অবদান রয়েছে তিনি হলেন আমার মা। যে কিনা তার অফুরন্ত ভালোবাসা, তার সন্তানদের কেবল দিয়েই গিয়েছেন। আমার মতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পেশা মাতৃত্ব। আর এই পেশার মানুষকে অগণিত টাকা দিয়েও তার বেতন নির্ধারণ করা সম্ভব নয়।‘ মানুষীর এই অসাধারণ উত্তর শুনে শুধু বিচারকরাই মুগ্ধ হননি মুগ্ধ হতে হয়েছে বাকী প্রতিযোগীদেরও।
বিশ্ব সুন্দরী শুধু রূপসৌন্দর্য্য দেখে নির্বাচন করা হয়না।
আপনারা শেষ পাঁচ প্রতিযোগীদের যদি দেখে থাকেন তাহলে বুঝতে পারবেন।
সত্যি বলতে এবারের বিশ্ব সুন্দরী হওয়ার সম্পূর্ণ যোগ্যতা ছিল শুধু মাত্র মানুষীর। যেমন সে কথায়, তেমন বুদ্ধি মত্তায় আর তেমনি ব্যক্তিত্বে।
সৌন্দর্যের কথা তো না বললেই নয়। হরিয়ানার মানুষী আরও একটি ইতিহাস গড়েছেন।

১৯৬৬ সালে ভারত সর্বপ্রথম বিশ্ব সুন্দরীর তকমা জেতে। সেই সুন্দরীর নাম রিটা কারিয়া। রিটা কারিয়াও একজন মেডিকেল ছাত্রী ছিলেন। প্রায় ৫১ বছর পর মেডিকেল ছাত্রী ছিল্লারও দেশের জন্য ছিনিয়ে এনেছে বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট। অদ্ভুত এক ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করলেন মানুষী।
মানুষী ছিল্লার কি ধরণের খাবার খান এবং কেমন লাইফ স্টাইল ফলো করেন তা আপনাদের সুবিধার জন্য দেয়া হল। চাইলে মেনে নিতে চলতে পারেন।
মানুষী যে ডায়েট মেনে চলতেন
সকালে ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস লেবু জল।

সকালের নাস্তা: ওটন বা হুইট ফ্লেক্স, সঙ্গে দই, বাদাম ও টাটকা ফল।
দুপুরের খাবর: ১-২ টা রুটি বা এক বাটি ভাত, সবজি, সালাত ও রায়তা।
সন্ধেবেলা: ফ্রুট স্মুদি, দই দিয়ে শশা বা গাজর স্টিক।
রাতের খাবার (রাত ৭ টায়): কিনোয়া স্যালাড বা কিনোয়া পোলাওয়ের সঙ্গে সুপ, অথবা চিক পিজ।
রাতে: টাটকা ফল।
পানি: প্রতি দিন তিন লিটার পানি।
সকালে হাঁটা ও হালকা ব্যায়াম: সপ্তাহে ৪-৫ দিন সকালে হাঁটতেন। প্রতি দিন জাম্পং জ্যাক।
ঘুম: যত ব্যস্ততাই থাক রাতে ৮ ঘন্টা ঘুমোতেন মানুষী।
ফোন: রাতে ঘুমোতে যাওয়ার ২ ঘন্টা আগে নিয়ম করে ফোন অফ করতেন মানুষী।
1 thought on “বিশ্ব সুন্দরীর মুকুট জিতে ইতিহাস গড়লেন মানুষী ছিল্লার”