আত্মবিশ্বাসী নারী কি কি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন? নিজের সাথে মিলিয়ে দেখুন

আমাদের জীবনে নারী হিসেবে প্রথমে যাকে দেখি সে হল “মা”। এরপর যাকে দেখি সে হতে পারে “বোন”। আজ কথা বলবো যারা হাজার ঝড়-ঝঞ্ঝা মাথায় নিয়ে নিজেদের মমতা দিয়ে আমাদের সাথে পথ চলছেন। সেই সকল নারীদের কথা বলবো যারা অনেক দৃঢ় চিত্তের এবং আত্মবিশ্বাসী। তাদের সাধারণ কিছু বৈশিষ্ট্য তুলে ধরবো। আপনি নারী হিসেবে কেমন মিলিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন।

নারী যখন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসে

সাধারণত নারীরা কোন ধরণের ঝুঁকি অথবা ঝামেলা পছন্দ করে না। কিন্তু মানসিক ভাবে দৃঢ় নারীরা সব কিছুতেই ঝুঁকি নিতে পারে, চ্যালেঞ্জ নিতে ভয় পায়না। চ্যালেঞ্জ কে তারা বড্ড ভালবাসেন। আপনি যদি এমন হয়ে থাকেন তাহলে আপনি ১০ জন মেয়ের মধ্যে সেই ২ জন যাদের সচরাচর পাওয়া যায় না।

নারী যখন পরনির্ভরশীল হতে পারে না

শুধু আমাদের সমাজে নয় সারা পৃথিবীতে অধিকাংশ নারীই নির্ভরশীল হতে পছন্দ করে।

তাদের ভেতরই কয়েকজন আছেন যারা নির্ভরশীল হতে পছন্দ করেন না।

তারা নিজেদের এমন ভাবে গড়তে চান যাতে অন্যরা তাদের উপর নির্ভর করতে পারে।

নির্ভরশীলতা যেন তাদের কাছে একটা পঙ্গুত্বের মতো।

নিজের অতীত বলতে ভয় পান না

প্রতিটা মানুষের জীবনেই অতীত থাকে। সবার অতীত যে মধুর হবে এমন নয়।

মানুষ তার তিক্ত অতীত নিয়ে অনেক বিব্রত বোধ করে। সব সময় লুকিয়ে রাখতে চায়।

অতীতের সেই তিক্ত অভিজ্ঞতা যদি তার ভুলের কারণে হয়ে থাকে তাহলে সে তা স্বীকার করতে কুণ্ঠাবোধ করে না।

অতীত ও অতীতের ভুলকে নিজের শত্রু নয়, নিজের হাতিয়ার করে তারা নতুনভাবে নিজেদের গড়ে তোলার জন্য চেষ্টা করতে থাকেন সর্বদা।

এই নারীরা প্রত্যাখ্যানকে ইতিবাচক ভাবে দেখেন

আত্মবিশ্বাসী নারীরা প্রত্যাখ্যানকে কখন ভয় পান না। প্রত্যাখ্যান হওয়ার কারণ টা নিয়ে চিন্তা করেন।

নিজের কমতিটাকে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে বদ্ধপরিকর হয়ে যান তারা।

তারা খুব ভালো করে জানেন যে সাপের মাথার মণি পেতে হলে সাপের ছোবল খেতেই হবে।

তাই নিজেকে সেভাবেই গড়ে তুলতে ব্যস্ত হয়ে পরেন।

নারী যখন সৃজনশীল মনের অধিকারী

একঘেয়েমি জীবনে তারা অভ্যস্ত হতে পারেনা। সৃজনশীল মননের অধিকারী হন তারা।

নিজের ভেতরের প্রতিভাকে কাজে লাগাতে কখনো বিলম্ব করেন না।

শুধু নিজের নয় পাশে থাকা মানুষটার প্রতিভা এবং সৃজনশীলতা প্রকাশের চেষ্টা করে।

সমাজ, পৃথিবী আর জীবনকে এক মাত্রায় দেখে না।

ভালো নেতৃত্ব দান করতে পারে

তারা যে পরিবেশেই যাক না কেন সেখানে নিজেকে মানিয়ে নেয়। তার ব্যবহার, বুদ্ধিমত্তা এবং মিষ্টি ভাষার জন্য সে ভালো নেতৃত্ব দান করতে পারে।

তার সাথে উপস্থিত সবাই ই চায় যেন এই পরিবেষটাকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখে।

কুৎসা না রটিয়ে অন্য নারীর সাহায্য করেন

সাধারণত নারীরা অন্যের কুৎসা রটিয়ে সুখ খুঁজে পায়। কিন্তু ব্যতিক্রমধর্মী এই নারীরা অন্যের কোন দোষ দেখলে তা নিয়ে অপমান না করে সেটা তাকে ভালো করে বুঝিয়ে বলেন।

সাহায্য করেন তার ত্রুটি কাটীয়ে উঠতে।

অন্যান্য সকলের কাছে তারা প্রকৃষ্ট উদাহরণ

মানসিকভাবে দৃঢ় নারীরা স্বভাবগতভাবেই অনেক বেশী শক্ত মানসিকতার মানুষ হয়ে থাকেন।

অন্যান্য সকলের চাইতে অনেক বেশী জেদি ও সংকল্পবদ্ধ মানুষ হয়ে থাকেন তারা। যা অনেক ক্ষেত্রে ও অনেকের জন্যে অনিয়ন্ত্রণযোগ্য বলে মনে হতে পারে।

তবে সত্য কথা হচ্ছে, তাদের এমন নাছোড়বান্দা আচরণ ও স্বভাবের জন্যে তারা অন্য সকলের কাছে দারুণ ও অনুপ্রেরনাদায়ক উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হন।

এমন স্বভাবের নারীকেই সকলে ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন। প্রকৃত ‘লিডার’ হবার সকল যোগ্যতা তাদের মাঝে খুব পরিষ্কারভাবেই পরিলক্ষিত হয়। লিডার হলেও তারা কখনোই হুকুম করে বা জোর করে কারোর কাছ থেকে কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসী নন।

তারা সকলকে ইতিবাচকভাবে এবং ভালো আচরণ দ্বারা বুঝিয়ে কাজ আদায় করার ক্ষেত্রে বিশ্বাসী।

2 thoughts on “আত্মবিশ্বাসী নারী কি কি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন? নিজের সাথে মিলিয়ে দেখুন”

  1. আমি পারবই, আমাকে পারতেই হবে । কেন নয় ? এই বোধটাই আসল ।

    Reply

Leave a Comment