কাজের চাপে ভুলে যাচ্ছেন পরিবারকে, মানসিকভাবে হচ্ছেন দুর্বল

ঘর ছেড়েছে সেই কবে গাড়িঘোড়া (উড়োজাহাজও অন্তর্ভুক্ত) চড়বার আশায়। সবে অ আ ক খ যখন বলতে শুরু করেছি মা আর দাদা-দাদীর কাছে তখন থেকেই আরেকটা লোভের সাথে পরিচয় হয় আমাদের

“পড়ালেখা করে যে,

গাড়িঘোড়া চড়ে সে”

ধীরেধীরে সেই লোভ ঘরবাড়ী আর পরিবার (মা-বাবা, ভাই আর বোন) ছাড়া করেছে অতি যতনে দৃশ্যমান গোপনে। নব্য প্রাপ্ত স্বাধীনতা আর ননিরপুতুল টাইপের আদরযত্ন বিহীন হয়ে কাটতে থাকে রাতদিন।

পরিবার
বন্ধনগুলোকে মজবুত করুন

পরিবারের প্রতি সবারই একটা গভীর দুর্বলতা কাজ করে। আমি-আপনি কেউ-ই এর বাইরে নই। যখনি অসুস্থতা ভর করে তখনি সামলে রাখতে পারিনা নিজেকে পরিবারের প্রয়োজন অনুভব থেকে। দুধের স্বাধ কি আর ঘোলে মিটে? নাহ! ফোনকল দেই একেক করে সবাই কে..
-হ্যালো আম্মা কেমন আছো?
-তুই কেমন আছিস রে? তোর গলাটা এতো ভারী আর আস্তে কথা বলছিস কেনো? শরীর খারাপ? (উনি কেমন আছেন সেটার উত্তরটা কিন্তু দেন নি)
-নাহ কিচ্ছু হয়নি! বলোনা কেমন আছো?
-বললাম তো ভাল। কত বার বলি!
-নাহ তুমি বলোনি তাই আবার জিজ্ঞেস করলাম।
-বলতো সত্যি কইরা, কি হইসে?
-নাহ তেমন কিছুনা! হাল্কা ঠা-ন-ডা.. (এই পর্যন্ত বইলা “লাগছে” শব্দটা বলার আর সুযোগ পাইনাই)
-আমিতো জানি তুই এরকম..সেরকম.. কতরকম..
কিছু ইচ্ছেমত বাণী প্রকাশ এবং জাহির করিলেন। আমিও কম নাহ! মনোযোগ সহকারে গিলতে লাগলাম মায়ের ভালোবাসা মাখা বকুনি গুলো।
অতঃপর ঔষধ এনে নিয়মিত খাবো প্রতিজ্ঞায় পাড় পেলাম। (বরাবরি ঔষধ অনিয়মিত খাওয়ায় আমি খুবি সবল)

পরিবার
মা তোমার মত কেউ হয়না

মা তোমাকে অনেক ভালোবাসি। আমার গাড়িঘোড়া চড়বার সেই লোভটা মলিন হয়ে গিয়েছে আজকাল। মাঝে মাঝে তোমার গায়ের গন্ধ নিতে ইচ্ছে করে। এখন আমার শুধু তোমার কোলে মাথাগুজে ঘুমুতে বড্ড ইচ্ছে করে আজকাল।

উপরের যে কথাগুলো বলছিলাম আপনার আমার প্রত্যেকটা সন্তানের কথা। এই ছোটখাটো বিষয় গুলো সবার সাথেই হয়ে থাকে।
আপনি জানেন কি?
প্রয়োজন, তাগিদ, আশা কতটুকু দূরে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের আপনজনদের কাছ থেকে! মা’কে সময় দিন, পরিবার কে সময় দিন, আপনজনদের সময় দিন। দেখবেন অনেক রোগ’ই কমে গেছে আপনার। অনেকে আবার সময় দেয়ার জায়গা পান না।

 

Leave a Comment