কুকুর পাললে আপনার জীবনে আসবে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন

আমাদের দেশে বেশির ভাগ পরিবারে কুকুর পোষাটা গ্রহণযোগ্য নয়। সিংহ ভাগ মানুষ কুকুর পালতে নারাজ। অনেকের এই প্রাণিটির প্রতি এক ধরনের ভয়ও কাজ করে। বাচ্চাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই কুকুর কিন্তু রাখতে পারে বিশেষ ভূমিকা। শুধু বাচ্চাদের জন্য নয় সব বয়সী মানুষদের জন্য এই প্রাণী অনেক ভালো একটি সঙ্গী।

কুকুর জড়তা দূর করে

মানসিক চাপের জন্য আমাদের মন খারাপ থাকে। অবসাদ নামে জীবনে। অনেকের জীবনে হতাশার কারণে হীনমন্যতায় ভোগে।

কুকুর

কিন্তু যদি কোন প্রাণী আপনার চারপাশে লেজ নাড়িয়ে আপনার আদর পাওয়ার জন্য ঘোরে তাহলে আপনি কি আর মন খারাপ করে থাকতে পারবেন?

পোষা প্রাণীর সঙ্গে খেলা করলে আমাদের মস্তিষ্কে অক্সিটোসিন নামের এক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মানসিক চাপ কমিয়ে আন্তরিক হতে সাহায্য করে।

সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ছোটবেলায় বাচ্চাদের মধ্যে যে জড়তা তাকে তা পোষা কুকুর দূর করতে পারে।

কুকুর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

প্রথমে আপনি হয়তো হয়তো বিশ্বাস করবেন না। কিন্তু গবেষণায় বের হয়েছে যে কুকুর তার মালিকের স্বাস্থ্যের অসঙ্গতি লক্ষ্য করে।

সে তখন মালিকের শরীরের সেই অংশে বারবার চাটতে থাকে। এমন হলে জলদি ডাক্তারের শরণাপন্ন হন।

হতে পারে শরীরের সেই জায়গায় ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে শুরু করেছে।

হাঁপানি হতে পারেনা

সুইডেনের এক গবেষণায় পাওয়া গেছে, নবজাতক শিশু যদি প্রথম এক বছর পোষা কুকুরের সঙ্গে বেড়ে ওঠে তাহলে তার শরীরে হাঁপানি রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

বয়স ছয় হতে হতে হাঁপানির ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।

ফুসফুস জনিত যেকোনো রোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

যদি বাচ্চার আগে থেকেই অ্যালার্জি কিংবা হাঁপানি থাকেলে লোমশ কিছু না পোষাই ভাল।

শিশুকে দায়িত্বশীল করে তোলে

কুকুর

দায়িত্বশীলতা, কর্তব্যপরায়ণ হিসেবে গড়ে তোলার সময় শিশু সময়েই।

বাড়িতে প্রাণী পোষা কিন্তু অনেক বেশি দায়িত্বশীলতার প্রমাণ দেয়।

বাবা মার দেখা দেখি বাসার পোষা প্রাণীটির প্রতি সেও যত্নশীল হতে শুরু করে।

কিভাবে বন্ধু বানাতে হয় শিখে যায়। চারপেয়ে এই বন্ধুর বদৌলতে ছোটবেলা থেকে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন অনেকেই।

অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমিয়ে দেয়

কুকুর

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে এই প্রাণীর শরীরে থাকা বেশ কিছু উপকারি ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে একদিকে যেমন ট্রাইগ্লিসারাইড এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি শরীরের অন্দরের ক্ষমতাও মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।

ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের স্বপ্ন পূরণ হতে সময় লাগে না।

হার্ট ভালো থাকে

কুকুর

যেমনটা একেবারে শুরুতেই আলোচনা করা হয়েছে যে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ার সঙ্গে কুকুর পোষার সরাসরি যোগ রয়েছে।

আসলে পোষ্যের সান্নিধ্যে থাকলে শারীরিক সচলচা এতটা বেড়ে যায় যে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে।

সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও চোখে পরার মতো কমে যায়।

4 thoughts on “কুকুর পাললে আপনার জীবনে আসবে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন”

  1. Needed to create you one little note so as to say thanks a lot again on the nice methods you have shared here. It’s certainly pretty generous of people like you to convey unhampered what exactly some people would’ve offered as an electronic book to earn some profit for themselves, most importantly seeing that you might have done it in case you wanted. These principles also acted to become good way to understand that most people have the identical eagerness really like my personal own to see much more concerning this condition. Certainly there are a lot more enjoyable moments ahead for many who find out your website.

    Reply

Leave a Comment