জলদস্যুর দল কতো কষ্ট করে বিভিন্ন গুপ্তধনের খোঁজ বের করত। সেই রোমাঞ্চকর কাহিনী গুলো পড়লে মাথায় ঘোরে চকচকে সোনা আর হীরাসহ অনেক দামী পাথরের ছবি। আজ আপনাদের সেই সব পাথর সম্পর্কে বলবো যেগুলো অনেক দুর্লভ আর দামী। যেগুলো দেখলে আপনারও জলদস্যু হতে মন চাইবে।
লাল হীরা
বিশ্বের এ পর্যন্ত প্রাপ্ত সমস্ত খনিজ পাথরের চেয়েও সবচেয়ে বেশি মূল্যবান লাল হীরা। দুষ্প্রাপ্যতাই এর অনন্য বৈশিষ্ট্য। দুর্লভ এ পাথরের প্রতি ক্যারেটের মূল্য প্রায় ১০ লক্ষ মার্কিন ডলারেরও উপরে। সারা পৃথিবীতে এই পর্যন্ত ৩০ টির মত লাল হীরা পাওয়া গেছে, যাদের বেশিরভাগই অর্ধেক ক্যারেটের।
তাফেইটি
তাফেইটি আরেকটি দুর্লভ খনিজ পাথর। এটাকে দেখতে অনেকটা চুনি পাথরের মত। আয়ারল্যান্ডে ১৯৪৫ সালে সর্বপ্রথম এটা আবিষ্কৃত হয়। পরবর্তী সময়ে শ্রীলংকা এবং তানজানিয়াতেও পাওয়া যায় এই পাথর। এর প্রতি ক্যারেটের মূল্য ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার।
গ্রান্ডিডিয়েরাইট
এটি খুবই কম পাওয়া গেছে এ পর্যন্ত। মাদাগাসকারে ১৯০২ সালে সর্বপ্রথম এটা পাওয়া গিয়েছিল। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
স্যারেন্ডিবিটে
স্যারেন্ডিবিটে খুবই দুষ্প্রাপ্য একটি খনিজ পাথর। এটা সর্বপ্রথম ১৯০২ সালে শ্রীলংকাতে পাওয়া যায়। সাম্প্রতি এটি মিয়ানমারেও পাওয়া গেছে। প্রতি ক্যারেট মূল্য ১৮ হাজার মার্কিন ডলার।
হীরা
পৃথিবীতে যত কঠিনতম খনিজ পাওয়া গেছে তার মধ্যে হীরা একটি। কয়লা খনিতে পাওয়া যায় এই পাথর। ১০০-৩০০ বছরে কয়লা রূপান্তরিত হয়ে হীরায় পরিণত হয়। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।
আলেকজান্দ্রিত
আলেকজান্দ্রিত সর্বপ্রথম ১৮৩০ সালে রাশিয়াতে পাওয়া গেছে। বিভিন্ন অবস্থায় বিভিন্ন রংয়ের রূপ ধারণ করে আলেকজান্দ্রিত।
আলোতে পান্নার মত দেখতে এবং অন্ধকারে লাল রুবি পাথরের বর্ণ ধারণ করে এটি। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ১২ হাজার মার্কিন ডলার।
রেডবেরেল
রেডবেরেল তৈরি হয় ব্যারিয়াম, এলুমিনিয়াম এবং সিলিক্যাটের মাধ্যমে। প্রকৃতিতে যে সমস্ত পান্না পাওয়া যায় সেগুলো বর্ণহীন।
এই পাথরের মূল্য প্রতি ক্যারেট ১০ হাজার মার্কিন ডলারের উপরে এবং দুষ্প্রাপ্য পাথরটি একসাথে ২-৩ ক্যারেটের বেশি পাওয়া যায় না।
মুসগ্রেভিটে
অস্ট্রেলিয়ার মুসগ্রেভ অঞ্চলে ১৯৬৭ সালে সর্বপ্রথম এই পাথর পাওয়া যায়। এটা খুবই দুষ্প্রাপ্য এবং কঠিন পাথর।
মুসগ্রেভিটে তৈরি হয় অ্যালমুনিয়াম অক্সাইডের সাথে ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং জিংকের বিক্রিয়ার ফলে।
প্রতি ক্যারেটের মূল্য ৬ হাজার ডলার।
বেনিটয়েটে
উজ্জল নীলাভ বণ্রের পাথর এটি। ব্যারিয়াম, টাইটানিয়াম এবং সিলিকার তৈরি এটি। ক্যালিফোর্নিয়ার বেনিটো কাউন্টিতে এটি সর্বপ্রথম পাওয়া গেছে।
পরবর্তীতে সেই জায়গার নাম অনুসারেই এর নামকরণ করা হয় বেনিটয়েটে। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ৪ হাজার মার্কিন ডলার।
পাওড্রেটেটিয়েট
কানাডার পাওড্রেটে পরিবার ১৯৬০ সালে সেইন্ট হিলারি কিউবেক পাহাড়ে সর্বপ্রথম এই খনিজ পাথর আবিষ্কার করে।
এটা দেখতে অনেকটা গোলাপি রংয়ের। প্রতি ক্যারেটের মূল্য ৩ হাজার মার্কিন ডলার।
যার সৃষ্টি এত সুন্দর, সেই সর্ব শক্তিমান স্রস্টা নাজানি কত সুন্দর? লেখাটা অনেক ভাল হয়েছে। লেখককে ধন্যবাদ।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।