ফরিদপুরে পাওয়া গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা হোটেলের খোঁজ

শায়েস্তা খাঁর আমল শেষ হয়েছে আজ অনেক বছর হল। এখন সেই যুগ নেই যে অল্প টাকায় অনেক কিছু পাবেন।

কিন্তু আমি যদি আপনাকে প্রতি রাত হোটেল ভাড়া ২৬ টাকা বলি আপনি কি বিশ্বাস করবেন? না করলে ঠকবেন।

আসুন জেনে নিন কোথায় এবং কিভাবে পাবেন।

এই অদ্ভুত হোটেলটি আমাদের বাংলাদেশেই আছে। জায়গার নাম ফরিদপুর। হোটেল গুলো পানিতে ভাসমান অর্থাৎ নৌকায়।

পাঁচটি নৌকা নিয়ে এই হোটেলটি তৈরি। নৌকার ভেতর রয়েছে থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা।

হোটেলের খরচ

প্রতিরাতে বেড পিছু খরচ ২৬ টাকা।

হ্যাঁ ঠিক দেখছেন ২৬ টাকা। খরচের হিসেবে পাচ্ছেন আরও কিছু সেবা। পানি এবং টয়লেটের সুবিধা পাচ্ছেন একদম বিনা মূল্যে।

আপনারা যারা ভ্রমণ পিয়াসি তাদের জন্য সত্যিই এটি একটি স্বর্ণ সুযোগ।

স্থানীয় শ্রমিক শ্রেণীর মানুষেরা এখানে থাকতে আসেন।

কাজের সুবাদে অনেকে থেকে জান কয়েক মাস।

বাসা ভাড়া করলে যেখানে খরচ পরে যায় অনেক বেশি সেক্ষেত্রে এখানে দিন প্রতি ভাড়া গুনলেই থাকতে পারছেন অনায়েশে।

জনপ্রতি থাকছে একটি ছোট্ট লকার। এখানে প্রাইভেট কেবিনও আছে। খরচ কিছুটা বেশি।

রাত পিছু খরচ পরবে ৮৬ টাকা।

মোট ৪০ জনের থাকার ব্যবস্থা আছে এই নৌকা হোটেলে।

২৬ বছর ধরে এই ব্যবসার সাথে যুক্ত আছেন মোঃ মুস্তাফা মিয়ান।

রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা। এই হোটেলে আপনি তিন মাস থাকতে পাড়বেন।

এত কম খরচের বিনিময়ে মাথা গোঁজার মতো জায়গা কে হাতছাড়া করতে চায়।

বাংলাদেশের ছোট শহর এবং গ্রামের মানুষেরা ব্যবসার সুবাদে বিভিন্ন এলাকায় আসেন। এখানে আসলে তারা এত সুবর্ণ সুযোগ কখনই হাত ছাড়া করেন না। অন্যান্য হোটেল গুলোতে থাকতে হলে গুণতে হয় বড় অঙ্কের টাকা। কিন্তু মিয়ানের এই নৌকা হোটেল অনেক মানুষের খরচ অনেকাংশেই কমিয়ে দিয়েছে। একটা কথা বলতে ভুলে গেছি এখানে খাবার পাওয়া যায় না। নিজের খাবারের ব্যবস্থা আপনাকেই করতে হবে।

ফরিদপুরের এই “বোট হোটেল” পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা হোটেলের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে।

1 thought on “ফরিদপুরে পাওয়া গেলো পৃথিবীর সবচেয়ে সস্তা হোটেলের খোঁজ”

Leave a Comment